ফেসবুক যখন সোনার ডিম পারা হাঁস

(ইহা একটি অলস মস্তিস্কের কল্পনাপ্রসূত স্ট্যাটাস)এক দরিদ্র লোক, তার নাম হাসু। তার ছিল এক হাঁস। সেই হাঁস দৈনিক একটা করে সোনার ডিম দিত। সেই ডিম বিক্রি করে লোকটা আস্তে আস্তে দারিদ্র্য অবস্থা থেকে উঠে আসতে লাগল। প্রথম প্রথম বাজারের মনু মিয়ার দোকানে হাঁসের ডিমটি বিক্রি করতো। মনু মিয়ার দোকানে কাস্টমাররা আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতো সেই একমাত্র ডিমটির জন্য। এই দেখে মনু মিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বি সুরুজ মিয়া হাসু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসলো। তারপর ইনিয়ে বিনিয়ে বলল হাসু মিয়া যদি ডিমটা সুরুজ মিয়ারে দেয়, তাহলে সে এক পার্সেন্ট বেশী করে দাম দিতে পারে। হাসু মিয়া রাজী হল, মনু মিয়ার বদলে ডিম যেতে লাগল সুরুজ মিয়ার দোকানে।
তারপর একদিন সুরুজ মিয়া একজন লোককে নিয়ে এল হাসু মিয়ার বাড়ি। সে হাঁসটা দেখতে চায়। হাসু হাঁস দেখালো। পরের দিন দুটো লোক এল দেখতে। হাসু তাদেরও দেখালো। তৃতীয় দিন এল পাঁচটা লোক। হাসু তাদেরও দেখালো। চতুর্থদিন হাসু প্রতি দর্শনার্থীর জন্য দশ টাকার টিকেট তৈরী করলো। তারপর সেই টিকেট বেচা টাকা দিয়ে একটা সুন্দর হাঁসের ঘর তৈরী করল। কিন্তু তারপরও নানা সমস্যা হতে লাগল। এত লোককে জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না। তাই হাসু একদিন তার ফার্মের মালিকানা পাবলিক করে দিল। শেয়ারহোল্ডারদের টাকায় বিশাল এলাকা জুড়ে তার হাসের বাড়ি বানালো, দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য গেট তৈরী করল, টিকেট কাউন্টার বানালো। দলে দলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়তে লাগল।
কিন্তু শেয়ারহোল্ডাররা সন্তুষ্ট হতে পারছিল না। তারা বললো, আরও টাকা চাই। ইনভেস্টমেন্টের তুলনায় রিটার্ন কম হয়ে যাচ্ছে। নানা রকম পরামর্শ আসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত কৃত্রিম উপায়ে সোনার ডিম পারা হাঁসের ক্লোন তৈরী করার সিদ্ধান্ত নিল হাসু। কিন্তু আরও সোনার ডিম পারা হাঁস তৈরীর জন্য এই হাসের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনার দরকার ছিল। হাসু সাহস করে তার সোনার ডিম পারা হাঁসকে নিয়ে থিয়েটার টেবিলে গেল।
হাসুর গল্প এখানেই শেষ। কারণ পাশের গ্রামের মুক্তারের মুরগীর বাথরুমের সাথে ডায়মন্ড পাওয়া যাচ্ছিল। দর্শক দলে দলে সেদিকে চলে যাচ্ছিল। মুক্তারের ডায়মন্ড মুর্গীর গল্প আরেকদিন বলা যাবে।
খবর:
আয় বাড়াতে আর বিজ্ঞাপনের জন্য বেশি জায়গা বের করতে ফেসবুকের টাইমলাইন আবারও নতুন করে সাজাতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি টাইমলাইনে পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেসবুক। জানা গেছে, ব্যবহারকারীর কভার ফটো, নেভিগেশন পদ্ধতিসহ বেশ কিছু ফিচারে পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, নতুন টাইমলাইন ফিচারটি পরীক্ষা করে দেখছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। নতুন ফেসবুক টাইমলাইনে ভিন্নরূপে আবারও ফিরে আসছে ট্যাব। এ ছাড়া কভার ফটোর সঙ্গে থাকবে ব্যবহারকারীর পরিচয় ও প্রোফাইল ছবি। প্রোফাইলের ওপরে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা দেখানো হবে।
ফেসবুক ব্যবহার না করলেও ফেসবুকের কোনো ক্ষতি নেই। কারণ, যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার ছেড়ে দেবেন, তাঁদের কাছ থেকেও অর্থ আয় করার পথ বের করেছে ফেসবুক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে থার্ড পার্টির অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন কৌশল পরীক্ষা করেছে ফেসবুক। ব্যবহারকারীর তথ্যের বিনিময়ে অর্থ আয় করার কৌশল নিতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
২০১৩ সালের মার্চ থেকে ফেসবুকে ভিডিও বিজ্ঞাপন চালু হতে পারে। ফেসবুকের নিউজ ফিডে ব্যবহারকারী না চাইলেও দেখতেই হবে ১৫ সেকেন্ডের বাধ্যতামূলক বিজ্ঞাপন। (সূত্র: প্রথম আলো)

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *