সদ্যঘোষিত চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতিকল্পে পরামর্শ

খুব সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১০ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে ঘোষনা দেন এবং ৩রা মে তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই মৌখিক স্বীকৃতি স্থায়ী রূপ পেল। এ ঘোষনায় চলচ্চিত্র নির্মান সংক্রান্ত কাজে জড়িত ব্যক্তিরা আনন্দিত হয়েছেন – এফডিসিতে নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে এমন সংবাদও পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। এফডিসি-র সীমানার বাহিরে রাস্তার পাশে বিশাল ডিজিটাল ব্যানার লাগানো হয়েছে, সেখানে লেখা – চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ ঘোষনা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।

দীর্ঘদিন ধরে স্থবির এবং ক্রমশই নিস্তেজ হতে যাওয়া চলচ্চিত্র ক্ষেত্রকে বাঁচানোর জন্য সরকারকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখেছি। ভারতীয় সিনেমা আমদানীর মাধ্যমে দেশীয় শিল্প উন্নতি করার চেষ্টা থেকে সরে এসে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষনা করার মত সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের পক্ষ থেকেও আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। কিন্তু চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ‘শিল্প’ হিসেবে এই স্বীকৃতিই যথেষ্ট নয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, শিল্পী, কলাকুশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও চলচ্চিত্র শিল্পের নবজাগরণের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চলচ্চিত্রশিল্প নির্মাণ ও প্রদর্শনসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান নি:সন্দেহে বেশ সুখকর। সাধারণত কোন নির্দিষ্ট ব্যবসাকে আরও বিকশিত হবার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যবসা খাতকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষনা করে। কোন ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা করার ফলে সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদী ঋণ গ্রহন, কর অবকাশ সহ বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করা হয় এ সকল ব্যবসায়কে। এছাড়া বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয়।

চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষনা দেয়ার ফলে এই সকল সুবিধা এখন থেকে সিনেমা নির্মাতারাও পাবেন বলে আশা করা যায়। চলচ্চিত্র নির্মানে ব্যাঙ্ক ঋণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল নির্মাতারা। ফলে প্রায় সত্তর লাখ ্য থেকে শুরু করে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে যে সিনেমাগুলো নির্মিত হয়, তার পুরোটাই ব্যক্তিপ্রচেষ্টায় সংগ্রহ করতে হয়। সহজ শর্তে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্হান করতে না পারায় সম্ভাবনাময়ী নতুন নির্মাতারা এগিয়ে আসতে পারছেন না। হয়তো এই অবস্থার দিন শেষ হয়ে এল।

চলচ্চিত্র নির্মানে প্রযুক্তির ভূমিকা বলাবাহুল্য। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণেই আমরা চলচ্চিত্র নামক কলার দর্শক হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের অগ্রগতির বিভিন্ন ধাপগুলো বিশ্লেষন করলে এই প্রযুক্তিরই উন্নয়ন ও প্রভাব লক্ষ্যনীয়। বালাদেশের সিনেমাজগতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি বেশীরভাগই পুরানো যা বর্তমান বিশ্বে নির্মিত সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতায় সমান কারিগরীমানের চলচ্চিত্র নির্মানে সক্ষম নয়। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্মিত তূলনামূলক ভালো চলচ্চিত্রগুলোর প্রায় সবই মুদ্রনসংক্রান্ত কাজের জন্য ভারতের মাদ্রাজের উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা এদেশে সিনেমা নির্মান ব্যয় বৃদ্ধিই করে। স্বল্প ব্যয়ে ভালো সিনেমা নির্মানের জন্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্নতা জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সদ্যঘোষিত শিল্পখাতের এই দিকটির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন, তাহলে হয়তো বেসরকারী উদ্যোগেই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহজলভ্য হয়ে উঠবে।

সিনেমা নির্মানে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তির আরেকটি রূপ হল ডিজিটাল সিনেমা। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল সিনেমা প্রদর্শনের জন্য সরকার মোরশেদুল ইসলামের ‘প্রিয়তমেষু’-কে অনুমতি দিয়ে আরেকটি নতুন দিক উন্মোচনে করেছেন ২০০৯ সালে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি ডিজিটাল সিনেমাকে সেন্সরবোর্ডের মাধ্যমে মুক্তিদানের অনুমতি ব্যতীত সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা এখন পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয় নি। অথচ ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যানে সিনেমা নির্মানব্যয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং প্রনোদনা পেলে বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানেরা এদেশের সিনেমা শিল্পকে কার্যকরী ও লাভজনক শিল্প হিসেবে চিহ্ণিত করবে বলেই আমার বিশ্বাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই নীতিমালার অভাব শুধু ডিজিটাল সিনেমার ক্ষেত্রেই নয়, ফিল্ম ফরম্যাটে তৈরী সিনেমার ক্ষেত্রেও সমানভাবে লক্ষ্যনীয়।

পিভিআর অনুপম – ভারতের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স। ১৯৯৭ সালে স্থাপনের পর থেকে খুব লাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এটি একটি।

নির্মিত সিনেমা প্রদর্শনের জন্য উন্নত বিশ্ব থেকে শুরু করে পাশের দেশ ভারত, এমন কি কোলকাতায়ও বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে, আমরা তখন যুদ্ধ করছি আমাদের জরাজীর্ণ সিনেমাহলগুলোকে কোনভাবে টিকিয়ে রাখতে। মাল্টিপ্লেক্স এবং ডিজিটাল প্রজেকশন এখন সময়ের দাবী। বাংলাদেশের সব সিনেমা হলেই পর্দার সংখ্যা একটি। মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাহলে এই পর্দার সংখ্যা একাধিক – চার থেকে চৌদ্দটি পর্দা থাকে। বাংলাদেশের একমাত্র মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সে পর্দার সংখ্যা চারটি। মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাহলের কল্যানে একই স্থানে একাধিক সিনেমা প্রদর্শনের সুযোগ থাকে যা একদিকে যেমন নির্মাতার জন্য সিনেমা প্রদর্শনের সুযোগ তৈরী করে দেয়, অন্যদিকে তেমনি প্রদর্শককে অধিকতর ব্যবসা নিশ্চিত করে।

তাছাড়া, বাংলাদেশে উচ্চমধ্যবিত্তশ্রেনীর জন্য সিনেমাহল ঢাকা শহরে মাত্র দুই থেকে তিনটি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে বড়জোর একটি। প্রয়োজনীয় পরিবেশের অভাবে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তশ্রেনী সম্পূর্নই হলবিমুখ। এই শ্রেনীকে হলে ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু গুনগতমানের সিনেমাই যথেষ্ট নয়, সেই  সিনেমা উপভোগের জন্য মানসম্পন্ন সিনেমাহলও চাই।  মাল্টিপ্লেক্সের মাধ্যমে এই শ্রেণীর প্রয়োজন মেটানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত।

শুধু পর্দার সংখ্যা বাড়ালেই মাল্টিপ্লেক্স করা সম্ভব হয় না, এর সাথে আরও বিভিন্ন দিকের উন্নয়ন করতে হয়। সাধারণত মাল্টিপ্লেক্সের ভবনটি বিশেষভাবে তৈরী করা হয় যেন সব ধরনের দর্শক কিছু সাধারণ সুবিধা যেমন টয়লেট, ক্যান্টিন, পার্কিঙ ইত্যাদি ভোগ করতে পারে। ফলে মাল্টিপ্লেক্সে রূপান্তরের জন্য সম্পূর্ণ নকশা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। এ কারণে, বর্তমানে চালু সিনেমাহলগুলোর কোনটিকে মাল্টিপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্দেশ্য হয়তো পুরো এক বছর সময় ও বিপুল পরিমান অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রথম মাল্টিপ্লেক্স তৈরী হয় ১৯৯৭ সালে, নতুন দিল্লীতে। অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ভিলেজ রোডশো-র সাথে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রিয়া এক্সিবিটরস লিমিটেড চুক্তিবদ্ধ হয়ে একটি চালু সিনেমাহলকে নতুন ভাবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে মাল্টিপ্লেক্সে রূপান্তর করে, নতুন নাম হয় ‘পিভিআর অনুপম’। গত দশ বছরে দিল্লীর সবচেয়ে বেশী মুনাফা অর্জনকারী সিনেমাহলগুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই “পিভিআর অনুপম’।

বর্তমানে ভারতে প্রায় ৮৫০  মাল্টিপ্লেক্স আছে যা ২০১৩ সাল নাগাত ১৪০০ তে দাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।  মাল্টিপ্লেক্স নির্মানে কোলকাতাও পিছিয়ে নেই। কোলকাতায় প্রথম মাল্টিপ্লেক্স র্নিমিত হয় ২০০৮ সালে, একই বছরে দুটি মাল্টিপ্লেক্স – ফেইম এবং সিনেম‌্যাক্স। বর্তমানে কোলকাতায় ২০ এর অধিক মাল্টিপ্লেক্স বিদ্যমান।

ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সরকারের দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় পাওয়া যায় এই মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের বিশ্লেষণে। ২০০০ সাল পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজ্যে মাল্টিপ্লেক্স নির্মানে সরকার বিশেষ সুবিধা প্রদাণ করে। এর মধ্যে অন্যতম হল ৫ বছরের জন্য কর মওকুফ করা। এর পূর্বে নুতুন নির্মিত সিনেমাহলগুলোর জন্য এই কর ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ। বলাবাহুল্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত বেসরকারী উদ্যোক্তাদেরকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে, বিভিন্ন রাজ্যে চেইন মাল্টিপ্লেক্স তৈরী হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নেও মাল্টিপ্লেক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

২০০৬-০৭ সালে ভারতের সাথে আমদানী শর্ত শিথিল করার পরে এবং পাচঁ বছরের জন্য কর মওকুফের সিদ্ধান্ত এ শিল্পের পালে হাওয়া বইতে শুরু করে। ভারত কর্তৃক গৃহীত এই সিদ্ধান্তের ফলাফল আরও বিস্তৃত। যৌথ বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় এবং  ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মাল্টিপ্লেক্স ব্যবসায়ে জড়িত হয়ে পরবর্তীতে স্টক মার্কেটে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ সরকার হয়তো এ থেকে উদ্ধুদ্ধ হতে পারে। সিনেমা দর্শকদের উন্নয়নে মাল্টিপ্লেক্স নির্মানের পাশাপাশি শহর ও মফস্বল অঞ্চলের সিনেমাহলগুলোর উন্নয়নে ঋণ এবং কর মওকুফ সুবিধা সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদাণ করতে পারে।

দর্শকদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতাদের এগিয়ে আসার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। বর্তমানের তরুণ প্রজন্ম তাদের সিনেমার চোখ এবং মানসিকতা তৈরী করেছে উন্নত বিশ্ব বিশেষত আমেরিকান, ইউরোপিয়ান এবং দূরপ্রাচ্যের সিনেমা দেখে। এরা একই গল্পে প্রেম-বিরহ, পারিবারিক-সামাজিক-রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় একটি সামাজিক-অ্যাকশন সিনেমা নির্মানের চেয়ে বিভিন্ন ধারা যেমন ড্রামা, থ্রিলার, কমেডি ইত্যাদি সিনেমা নির্মানে বেশী আগ্রহী।

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়া এই তরুণ প্রজন্মের মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ প্রদানে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তির সহলভ্যতা ও প্রদর্শন সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সিনেমাহলগুলোতে ডিজিটাল প্রজেকশন ব্যবস্থা প্রয়োজন। সুখের খবর, বেসরকারী উদ্যোগে দেশের কিছু সিনেমা হলে ডিজিটাল প্রজেকশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারী প্রণোদনা এই উদ্যোগকে ত্বরাণ্বিত করবে। উল্লেখ্য, ডিজিটাল প্রজেকশন শুধু সিনেমাকে অধিকতর উপভোগ্যই করে না, এর মাধ্যমে সিনেমার পাইরেসিও অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

সিনেমা শুধু বিনোদিত করে না, সিনেমা মানুষকে শিক্ষিতও করে। গত শতকের গোড়ার দিকে কম্যুনিজমের আদর্শ ও শিক্ষা রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাহায্য নেয়া হয়েছিল সিনেমার। একশ বছর পরে বাংলাদেশ সরকার যদি দেশের মানুষের শিক্ষা-মানসিকতার উন্নয়নে এই প্রযুক্তির ব্যবহার যথাযথ করতে পারে, তবেই শিল্প ঘোষনার সার্থকতা। অন্যথায়, এই ঘোষনা হবে শুধুই নির্বাচনী প্রস্তুতির হাতিয়ার, আর প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হবে শুধুই তৈলমর্দন।

বার্তা২৪ এ প্রকাশিত

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

15 Comments on “সদ্যঘোষিত চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতিকল্পে পরামর্শ”

  1. চমৎকার বলেছেন ভাইয়া। সমস্যা হলো এই বিষয় গুলো চেয়ারে যারা বসে আছেন তারা কতোটুকু উপলব্ধি করতে পারবেন?

    1. জানি না ভাই। চেষ্টা করছি লেখাটা কোন পত্রিকায় প্রকাশ করা যায় কিনা।
      হয়তো তাদের নজরে পড়বে তবে। উপলব্ধিও হতে পারে।
      ভালো থাকুন।

  2. ইন্ডিয়ার মুভি ইন্ডাষ্ট্রির আরেকটা উদাহরণ:
    প্রায় ৮ কোটি জনসংখ্যার অন্ধপ্রদেশে ৩,৭০০টি সিনেমা হল আছে। এইখানে বছরে প্রায় ২০০ মুভি নির্মিত হয়। ইন্ডিয়ার মোট ডলবি ডিজিটাল থিয়েটারের মধ্যে চল্লিশ ভাগই [৯৩০টির মধ্যে ৩৩০টি] এই রাজ্যে। এইখানকার আইম্যাক্স থিয়েটারটি ২০০৭ সালে নির্মিত হয়। এটার নাম প্রাসাডস আইম্যাক্স। সেই সময় এটি ছিলো বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্কিনের আইম্যাক্স থ্রিডি হল। এইখানকার মুভি ইন্ডার্টিজকে বলা হয় টলিউড। এখানে ভারতের সবচেয়ে বেশি মুভি নির্মিত হয়। অন্ধপ্রদেশের জিডিপি-তে টালিউড যোগ করে ১%। একসময় তেলেগু মুভির কেন্দ্র মাদ্রাজ হলেও সত্তরের পর থেকে সরতে সরতে এখন পুরোটাই হায়দ্রাবাদে। ফি বছর অনেকগুলা তেলেগু মুভির রিমিক হয় নানা রাজ্যে। তাছাড়া তেলেগু মুভি তামিল, মালায়লাম, উড়িয়া, হিন্দীতেও ডাব হয়। (মার্চ ২০১১’র হিসেব)

  3. অসংখ্য ধন্যবাদ আর্টিকেলটার জন্য। অনেক নতুন জিনিস জানলাম 🙂

  4. আমাদের দেশের ফাইনেন্স ব্যবস্থা অত্যন্ত দূর্বল,এখানে আপনি ডলারে কোনই কাজ করতে পারবে না। যা বিদেশী বিনিয়োগে বাধা গ্রস্থ করে। লোন ব্যস্থথা এটাই সংকির্ন যে, অল্প কিছু সেক্টর ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রেই লোন পাওয়া যায় না।
    কোন একটি শিল্প তখনই বিকোশিত হবে যখন তাতে বিনিয়োগের জন্য অর্থ পাওয়া যাবে।
    চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে মাত্র ঘোষনা দিলেও দেখা যাবে শুধু মাত্র সরকারী লোন পাওয়াই দুস্কর ব্যপার আর বেসরকারী অর্থ সংস্থা গুলো তো আপনাকে দেখলে দৌড়ে পালাবে।
    সরকারের সৎইচ্ছা তখনই বোঝা যাবে যখন – চলচ্চিত্রের অর্থে উৎসের জন্য – বন্ড ছাড়ার অনুমতি থাকবে, সহজে বিশেষ লোনের ব্যবস্থা থাকবে।
    মোট কথা এখন চলচ্চিত্রের জন্য অর্থের বিনিয়োগ উম্মুক্ত করতে হবে।

  5. Boss khub ee bastobik likhsen…ai kotha gulo jodi authority borabor ensure kora jaito….kintu amader bohudiner asa akta film institute…aita ki hobena?shunlam DU te naki mass comunication dept. Er under a film making a post graduation chalu hocche…aitar aktu detail diyen to

    1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিভিশন এন্ড ফিল্ম স্টাডিস নামে একটা ডিপার্টমেন্ট যাত্রা শুরু করেছে এ বছর, মাস কমিউনিকেশন এর আন্ডারে নয়। আপাতত মাস্টার্স প্রোগ্রাম, সামনে অনার্সও চালু হবে। প্রথম ব্যাচে ত্রিশ জন শিক্ষার্থী, তাদের ভর্তি পরীক্ষা শেষে রেজাল্টও হয়ে গেছে, ভাইভা বাকী আছে।
      আপাতত এই জানা আছে আমার। ধন্যবা সুমন 🙂

  6. Onek dhonnbad boss….arektu janar iccha chilo…masters a oi sub a vorti hote chaile honors level er sub er kono baddo badhokota ache ki? naki jeno sub ar honors degree student vorti porikkha dite parbe

  7. ei lekha ta kono vabe netrir kase pouche den……..
    sobai to r sob kisu jane na…….
    khali shilpo ghoshona korlei hoy na………
    shilpotto bojay rakhte gele onek poth hatte hobe…….

  8. সরকারের এ ঘোষণায় আমি খুব একটা আশাবাদি না।
    প্রধানমন্ত্রী ঘোষণাটা বুঝে দিয়েছেন নাকি না বুঝে সেটাও একটা বিরাট ধাধা।

    যাই হোক। বাংলাদেশি সিনেমার সার্বিক উন্নতি সব সময় চেয়ে এসেছি। তাই আশা করবো সরকারের চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবেই যেন থেকে না যায়। চলচ্চিত্র শিল্প, শিল্পী, দর্শক সর্বমহল যেন সত্যিকার অর্থেই লাভবান হয়।

    1. আমার ধারনা, বুঝলেন পোকা, আজ থেকে দশ বছর পরে বর্তমান সময়টাকে ফিল্ম ক্রিটিকরা ফিল্ম মুভমেন্টের একটা বছর হিসেবে ঘোষনা করবে। একটা একটা সিনেমা ধরে হয়তো পরিবর্তনটা বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু যখন এক সাথে ৫/৭ বছরের সিনেমা নিয়ে বিশ্লেষন হবে, তখন বোঝা যাবে আসলেই কি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছিল এখানে।
      হতাশার কিছুই নাই 🙂 🙂

Leave a Reply to মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *