দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো (The Adjustment Bureau): নিয়তি এবং কর্মের দ্বন্দ্ব

দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো ছবির দৃশ্য
দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো ছবির দৃশ্য

ধর্মে বিশ্বাসীদের বিশেষত ইসলাম, ইহুদী, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ফেরেশতা সম্পর্কে বিশ্বাস রয়েছে। ফেরেশতা হল এমন সৃষ্টি যারা স্রষ্টার আদেশে বিভিন্ন রকম কার্যে নিয়োজিত থাকে। অন্যান্য ধর্মে ফেরেশতাদের জায়গায় আছে বিভিন্ন দেবতা, রয়েছে দেবতাদের অধীনস্ত বাহিনী। যেহেতু ফেরেশতা বা অ্যাঞ্জেলরা স্রষ্টার সাথে সম্পৃক্ত, তাই ফেরেশতা সম্পর্কে একটা শ্রদ্ধা আছে, ভক্তি আছে। এই ফেরেশতারাই যদি একটা সিনেমার চরিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে উপস্থাপিত হয় তবে কেমন হয়?

এ পর্যন্ত তিনটি সিনেমার কথা মনে পড়ছে যেখানে ফেরেশতারা বা অ্যাঞ্জেলরা বেশ ভালো ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে একটি হল অ্যাঞ্জেল এ। এটি একটি ফ্রেঞ্চ সিনেমা। হতাশাগ্রস্থ এক যুবককে বাচাতে এক নারী অ্যাঞ্জেল এসে উপস্থিত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রেমে পড়ে যায় একে অপরের। অসাধারণ এক সিনেমা। অন্য আরেকটি সিনেমার নাম ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ । সাদাকালোয় নির্মিত এই সিনেমাটায় একজন অত্যন্ত ভালোমানুষকে পৃথিবীতে তার অনুপস্থিতি কি ভূমিকা রাখবে তা বোঝানোর জন্য একজন অ্যাঞ্জেলকে পাঠানো হয়। সমাজে যে ভালো মানুষের কি প্রয়োজনীতা, সেটা বোঝা যায় এখানে। হয়তো দর্শকরা কিছু সময়ের জন্য হলেও ভালো হওয়ার আগ্রহ বোধ করেন।

সম্প্রতি দেখলাম দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অল্প যে কটি সিনেমা দেখা হয়েছে এটা তার একটি। ডেভিড নরিস নামে এক খুবই তরুন ছেলে যে কিনা একজন কনগ্রেসম্যান হবার চেষ্টা করছে একটি অসফল ক্যাম্পেইন চালায়। শেষে একটি বক্তৃতা তৈরী করার প্রাক্কালে দেখা হয়ে যায় এলিসের সাথে। এই পরিচয়টা তার বক্তৃতাকে পাল্টে দেয়, বক্তৃতাটি বেশ জনপ্রিয় হয়। আবার দেখা হয়ে গিয়েছিল এলিসের সাথে, কিন্তু তাদের পরিচয়টা গাঢ় হবার সুযোগ ছিল না। একদল অ্যাডজাস্টার যারা ‘চেয়ারম্যান’র হয়ে কাজ করে তারা চাইছিল না ডেভিড নরিসের সাথে এলিসের দেখা হোক, সম্পর্ক তৈরী হোক – কারণ প্ল্যানে এটা নেই এবং এটা নরিসের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। সুতরাং ডেভিড নরিস চেষ্টা করতে থাকে কিভাবে এই প্ল্যানকে উপেক্ষা করে এলিসের সাথে মিলিত হওয়া যায়।

এখানেই দ্বন্দ্বের শুরু। মানুষ কি তার ভাগ্য বদলাতে পারে নাকি যা লিখে রাখা হয়েছে তাই তার পরিনতি? চিরন্তন এই দ্বন্দ্ব সিনেমাতেও। ডেভিড নরিস চেষ্টা করে যাচ্ছে তার নিজের মত করে ভাগ্য গড়ে নিতে। একে ইংরেজিতে ফ্রি উইল বলা হয়। অন্যদিকে, একদল অ্যাডজাস্টার বা অ্যাঞ্জেলস চেষ্টা করে যাচ্ছে প্ল্যানবুকে যা লেখা আছে অর্থ্যাত প্রিডেস্টিনেশন তা বজায় রাখা। প্ল্যানে ছিল না এলিসের সাথে নরিসের দেখা হোক।

কিন্তু ব্ক্তৃতার আগে দেখা হওয়াটা জরুরী ছিল। কারণ সেটাও প্ল্যানের একটা অংশ। এমন একটা সাক্ষাত যা নরিসের বক্তব্যকে পাল্টে দেবে, যা তাকে জনপ্রিয় করবে এবং একজন ভালো কনগ্রেসম্যান হিসেবে তৈরী করবে। কিন্তু নরিস যদি এই এলিসের প্রেমে পড়ে সম্পর্ক তৈরী করে তবে ভালো কনগ্রেসম্যান হবে না। অন্তত: প্ল্যান তাই বলে। সুতরাং প্ল্যান রক্ষার্থে অ্যাডজাস্টাররা কাজ করে যায়, ডেভিড নরিসও তার ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করে যায়।

প্রিডেস্টিনেশন নাকি ফ্রি উইল? ফ্রি উইল খুবই শক্তিশালী একটা ক্ষমতা। আপনি যদি ফ্রি উইল ব্যবহার করতে পারেন তো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সহজ। অন্যদিকে প্রিডেস্টিনেশন পেছন দিকে টেনে ধরবে। এক এক ধর্মে এক এক ভাবে দেখা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে এর মাঝামাঝি অবস্থান লক্ষ্যনীয়। দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো সিনেমায় শেষ পর্যন্ত ফ্রি উইলের জয় দেখা গেলেও প্রশ্ন রেখে যায়। কর্পোরেট দুনিয়ায় চেয়ারম্যানই সব ক্ষমতার অধিকারী, তাই সিনেমায়ও ইশ্বর এর নাম চেয়ারম্যান।

কিন্তু মানুষ চেয়ারম্যানের মত ঈশ্বর চেয়ারম্যানের ক্ষমতায়ও ঘাটতি আছে এমন একটা ধারণা দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো সিনেমা থেকে তৈরী হতে পারে। ডেভিড তার ফ্রি উইল দিয়ে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তকে পাল্টে দিতে পেরেছে – এটাই কি সত্যি, নাকি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রিডেস্টিনেশনেই পৌছেছে ডেভিড তার জবাব পাওয়া যাবে না সিনেমায়, জবাব দর্শকের মস্তিস্কে, হৃদয়ে। সমালোচক রজার এবার্ট দারুন একটি রিভিউ লিখেছেন এই সিনেমা নিয়ে – পড়ে দেখা যেতে পারে।

দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো সিনেমায় অ্যাঞ্জেলরা ডেভিড নরিসের কাজে বাধা দেয়ার দারুন একটা ব্যাখ্যা করেছে। তারা চায় নরিস একজন কনগ্রেসম্যান হোক, তার মত একজন কনগ্রেসম্যান থাকা দরকার। সে উদ্যমী, সে প্রত্যয়ী। কিন্তু এলিসের সাথে সম্পর্কে জড়ালে তার কনগ্রেসম্যান হবার সম্ভাবনাটুকু নষ্ট হবে – সুতরাং এলিসের সাথে নরিসের সম্পর্ক নষ্ট করার যাবতীয় পদক্ষেপ তারা নেয়। ব্যক্তিগতভাবে এই জায়গাটায় আমি খুব প্রীত।

অল্প বয়সেই আমি অনেক অনেকগুলা উদাহরণ দেখে ফেলেছি যেখানে এই প্রকৃতির আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে সম্ভাবনাময়ী ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যেতে। সবসময়ই প্রকৃিতর প্রয়োজন তা আমার মনে হয়নি। অনেক সময়ই আশেপাশের পরিবেশ অনেক বেশী প্রভাবিত করছে, এই পরিবেশের মধ্যে আমাদের গল্প-উপন্যাস-নাটক-সিনেমা-গান রয়েছে। স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া একটা ছেলে বা মেয়ের প্রেম করার পেছনে তার দৈহিক বা মানসিক প্রয়োজন যতটা বেশী তারচে বেশী প্রয়োজন আত্মসন্তুষ্টি যার সিংহভাগ আসে লোকদেখানোর মানসিকতা থেকে। একজন প্রেমিকের দৈনিক চিন্তাভাবনা এবং কর্মকান্ডের একটা বড় অংশ যায় তার প্রেমিকাকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য। ফলে এই প্রেমিক গোষ্ঠী দ্বারা ঐতিহাসিক কিছু প্রেমকাব্য এবং মহাপোন্যাস তৈরী হয় সত্যি, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সমাজ পরিবর্তন হয় না। নচিকেতার “অনির্বান -৩” এর গানটা মনে পড়ে যায়।

তোকে নিয়ে ঘর বাধবার স্বপ্ন আমার অন্তহীন, রাত্রিদিন।
কিন্তু বুকে বাঁধে আরেক আশা
ফুটপাতে যাদের বাসা
আগে তাদের জন্য একটা ঘর বানাই।

প্রেমকে উপেক্ষা করে সমাজ-রাষ্ট্র বদলে দেয়ার সাহস এবং পৌরুষ সবার থাকে না। প্রয়োজনের প্রেম চাই, অসময়ের-অপ্রয়োজনের-লোকদেখানো প্রেম নয়।

জর্জ নোলফির পরিচালনায় এই সিনেমাটার গল্প ফিলিপ কে ডিক এর অ্যাডজাস্টমেন্ট টিম অবলম্বনে। অভিনয় করেছে ম্যাট ডেমন এবং এমিলি ব্লান্ট। বেশ উপভোগ্য সিনেমা। বিশেষ করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ফেরেশতাদের কাজকর্ম দেখাটা দারুন। দরজা দিয়ে এক জগত থেকে আরেক জগতে স্থানান্তরের বিষয়টা নি:সন্দেহে চমকপ্রদ। আইএমডিবি রেটিং ৭.১ হলেও দর্শককে ভাবানোর জন্য বেশ ভালো একটি সিনেমা।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

26 Comments on “দ্য অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যুরো (The Adjustment Bureau): নিয়তি এবং কর্মের দ্বন্দ্ব”

  1. আমার মতে,
    প্রিডেস্টিনেশন আর ফ্রি উইল হচ্ছে গিয়ে মালিক ছাড়া দড়ি ছাড়া গরু। মালিক গরু থেকে অনেক বেশী বুদ্ধিমান, সে জানে কিসে ভাল।
    আর যে গরুর কোন মালিকই নাই তার অবস্থা আমাদের পশ্চিমা সভ্যতাগুলোর অবাধ মেলামেশা দেখলেই বোঝা যায় মালিক ছাড়া দড়ি ছাড়া গরুর কি অবস্থা হয়। ফ্রি উইল ফ্রি উইল করতে করতে . . .তারা মেশিন হয়ে যাচ্ছে , বস্তুবাদি ভোগবাদি হয়ে যাচ্ছে।

    1. দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম বিপ্লব 🙂
      আপনার মতের সাথে দ্বিমত করার কোন প্রয়োজন দেখছি না। ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ
      আবার আসবেন 🙂

  2. “প্রেমকে উপেক্ষা করে সমাজ-রাষ্ট্র বদলে দেয়ার সাহস এবং পৌরুষ সবার থাকে না। প্রয়োজনের প্রেম চাই, অসময়ের-অপ্রয়োজনের-লোকদেখানো প্রেম নয়।”
    লাইন দুটি অসাধারন ভাবে ভাল লাগলো……।।

  3. এই ধরনের মুভি’র একটা টোন আছে। এবং একই টোনের আরো কিছু মুভি হলো

    1. Inception
    2. The Matrix
    3. The One
    3. The Time Traveller’s wife
    4. Butterfly Effect
    5. Source Code

    1. আরে এ যে দেখি আমার মনের কথা গুলোই বলেছেন । ফিলিপ কে. ডিক এর সব মুভি আর বই প্রায়ই একই বিষয়বস্তু গুলো অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে ।
      তার লেখা বই গুলোর মুভির নাম শুনলেই মাথা ঘুড়িয়ে যাবে।
      – Total Recall (2012)
      -The Adjustment Bureau (2011)
      – Next (2007)
      – A Scanner Darkly (2006)
      – Paycheck (2003)
      – Minority Report (2002)
      – Screamers (1995)
      – Confessions d’un Barjo (1992)
      – Total Recall (1990)

  4. Nicolas Cage এর City of Angels এই ধাচের মুভি। ফ্রেঞ্চ মুভিটাতে মেয়েটা অ্যাঞ্জেল আর হলিউডের এ মুভিটাতে ছেলেটা।

    প্রেম এমন একটা বিষয় যা জীবনের গাতিকে কমিয়ে দেয়। কখনো কখনো জীবন সম্পূর্ণ উল্টোপথে যাত্রা শুরু করে।
    সমাজকে পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখতে মানুষদের ইহা হইতে ১০০ হাত দূরে থাকাই শ্রেয় :p

    মুভিখানা দেখিতে হবে।

    1. প্রেম এমন একটা বিষয় যা জীবনের গাতিকে কমিয়ে দেয়। কখনো কখনো জীবন সম্পূর্ণ উল্টোপথে যাত্রা শুরু করে। – বলেছেন কাউসার রুশো 🙂

      সিটি অব অ্যাঞ্জেলস দেখি নাই।

  5. আহ! মিস করছি মুভিটা। এবার দেখে ফেলতে হবে তাহলে।
    দারুন রিভিউ টার জন্য অনেক ধন্যবাদ দারাশিকো ভাই!
    ভাল থাকবেন।

  6. আমি মুভিটা দেখেছি। কিন্তু এই দৃষ্টি কোন থেকে দেখিনি।

    একটু আলাদা ভাবে, দেখেছি।

    Everything is decited.

    সাধারনত ধর্ম, যেকোনো ধর্মে পাপ কাজ করলে, নিয়মাবলি বলি ভাঙ্গলে শাস্তির একটা বিধান থাকে। এই ফিল্ম এই জিনিষটাকে এড়িয়ে গেলনা, ডেমনকে প্রচুর পরিমান আঘাত করা হলো।

    ওইযে ফাষ্ট যে সিনটাতে ম্যানেজারের সাথে নায়কের দেখা হয়, ঐখানে কোনো প্রকার যুক্তি ছাড়া প্রিয় মানুষটার একটা স্মৃতি পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটা মৃত্যু বা অসুখ অথবা দুক্ষ এসব কিছু চিহ্নিত করলো ? উত্তর পাই নি।

    চাপ বা আঘাত অথবা ভয় দেখিয়ে কার্য আদায় করা ম্যানেজারের কাছে কতটা যুক্তিযুক্ত ?

    ইত্যাদি ব্যাপারগুলো ক্লিয়ার করেনি, পুরো মুভিটা।

    আপনার ভাবনাটা ভালো লেগেছে।

    Howls Moving Castel

    মুভিটা সময় করে দেখবেন, মুভিটার অনেক কিছু এই মুভিতে ব্যাবহারিত হয়েছে।

    1. দারাশিকোর ব্লগে এটাই কি প্রথম আগমন? সুস্বাগতম দিপ 🙂

      একেকজন একেকভাবে দেখবে সিনেমা, এটাই স্বাভাবিক। সিনেমায় ‘এভরিথিং ইজ ডিসাইডেড’ কথাটা ঠিক কিন্তু মানুষ ক্যান চেঞ্জ ইফ হি ওয়ান্টস এইটাকেই বেশী জোর দেয়া হয়েছে। এ কারণেই ম্যাট ডেমন এত কষ্ট-বিপদ সহ্য করে শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে দিয়ে তার জীবনের গতি পাল্টে নিতে পেরেছে। তবে নিয়ম ভাঙ্গার শাস্তির ব্যাপারটা সত্যিই স্পষ্ট। খোদা হোক আর প্রকৃতি – নিয়ম ভাঙ্গার শাস্তি পেতেই হবে।

      ম্যানেজারের সাথে প্রথম সাক্ষাতে ওই বিষয়টাকে আমি এভাবে ভেবে দেখিনি, আমার মনে হয়েছে প্রভুভক্ত একদল লোক তার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রভুর আদেশের ব্যত্যয় ঘটলে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ঠিক এ কারণেই ম্যানেজার সোজা রাস্তায় না গিয়ে জোর খাটানোর চেষ্টা করেছে। এইসব আমার মত, ভুল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

      দিপ এই মুভিটা নিয়ে লেখার সময় আপনার একটি নির্দিষ্ট সময়ের স্ট্যাটাসগুলোর কথা মনে পরে যাচ্ছিল – আপনি যেন এই পোস্টা পড়েন সেটা আমি মনে মনে কামনা করছিলাম। কামনা পূরণ হয়েছে। ধন্যবাদ 🙂

  7. Vhaia ami apnar lekhagulo akhanei pori.

    But keno jeno lekhar topicta nia ato besi basto hoe jai j coment kora hoy na.

    Movita nia ami likhecilam, aktu vabna share korlam but karo sara na peye continued korini. Mone holo ata nichok akta fantasy action movie.
    Apni likhlen dekhe amio kichu bollam. Tokhon ki vabna mathay chilo thik moneo nai. Tachara mathay ghurce lal tip r blog juddho.

    By the way amr kon statusgulo r kotha bollen bujhte parlam na.

    R amk apni bole dakle kintu oviman korbo

    1. আপনার লেখাটা চোখে পড়েনি দিপ। হয়তো তাই আলোচনা করার সুযোগটা মিস করলাম। লিংক দিলে অন্তত দেখে নিতে পারতাম।

      লাল টিপ নিয়ে কি খুব ব্লগ যুদ্ধ হচ্ছে নাকি? ফেসবুক গ্রুপে আপনার মন্তব্য দেখেছি। আমি লাইক দিয়েছি। আমি এত নেগেটিভ মন্তব্য করতে রাজি না। তবে এটাও ঠিক, স্বপন সাহেব এমন ভাব নিচ্ছেন যেন উনি অস্কার পাওয়ার মতো সিনেমা বানিয়ে ফেলেছেন – উনার মাটিতে নেমে আসা উচিত। দূর্যোধনের রিভিউটা এখানে সাহায্য করেছে।

      আপনার কিছু স্ট্যাটাস পড়ে মনে হয়েছিল – আপনি রিলেশনাল টারময়েলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন – আপনার অমিত সম্ভাবনা। এইসব বাধনে বেধে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন – আমি আন্তরিকভাবেই খুব ভয় করি। ভালো থাকুন দিপ 🙂

  8. মুভি কিনতে মার্কেট এ গেছিলাম।মিশন ইম্পসিবল ৪ কেনার সময় ডিস্কের ভীরে এই মুভিটাও চোখে পরেছিলো।নাম দেখে কেমন হবে না হবে ভেবে আর কিনি নাই।এখন মনে হচ্ছে দেখা দরকার

    1. এই সিনেমাটা দেখতেই হবে এমন নয়। দেখলে খারাপ লাগবে না যেহেতু আপনি মিশন ইম্পসিবল সিরিজ দেখেন। আমি সিনেমাটা দেখে ভিন্নভাবে গ্রহন করতে চেষ্টা করেছিলাম তাই লিখেছি 🙂

      ভালো থাকবেন অরীত্র 🙂

      1. “In Time” মুভিটা দেখেছেন?অনেক দিন পর একটা সায়েন্স ফিকশন দেখে ভালো লাগলো/মুভিটা অনেক বেশি রিয়েলিষ্টিক থিওরীটিক্যাল দিক দিয়ে

  9. কালকে রাতে দেখলাম মুভিটা। প্রথম থেকে ভালো এগোচ্ছিলো, ভালৌ লাগতেছিলো। কিন্তু শেষের দিকে গিয়ে কেমন জানি হয়ে গেল, বাংলা সিনেমা টাইপ, সকল বাধা বিপত্তি ছিন্ন করে প্রেমিকার পিছে দৌড়ানো, sounds kinda odd 😛
    ফ্রি উইল আর প্রিডেস্টিনেশনের মধ্যে সংঘাতকে এলিসের সাথে প্রেমকাহিনী দিয়ে না দেখিয়ে অন্য কোন কাহিনী/প্লট/গল্প দিয়ে দেখালে আরো জোশ হত মনে হয়। (আমার আবার রোমান্টিক জিনিসপাতি তেমন ভালো লাগেনা) রেটিং 6.5 দেওয়া যায় 🙂

    তবে অনেকদিন পর অন্যরকম ফ্লেবারের একটা মুভি দেখলাম,এবং উপভোগ করলাম, এবং মুভির খোজ দেওয়ার জন্য লেখককে ১ কেজি ধন্যপাতা 🙂

    1. কি করবেন বলুন। শুধু কাহিনী হইলেই তো চলে না, ব্যবসাও হওয়া লাগবে – তাই প্রেম কাহিনীর উপরই নির্ভর করা লাগল।

      আর এমন দিনে ধনেপাতা দিলেন যখন খাইতে খাইতে অবস্থা খারাপ। মাস ছয় পরে দিলে হয় না? 🙂

  10. সালাম ভাই । মুভিটা আগেই কিইন্না রাখছিলাম । একবার ডিভিডিতে প্লে কইরাই টাইনা টাইনা দেখলাম । কিসব হাবিজাবি নির্বাচনের ভাষণ । ফালায়া রাখছিলাম । এমনিতে ম্যাট ডেমন আমার ফেবারিট লোক । বিশেষ কইরা বর্ন ট্রিলজি দেখার পর হইতে । কিন্তু আপনের রিভিউটা পইড়াই দেখতে লাইগা গেলাম । ভাল লাগছে ।
    তয় এমিলি ব্লাণ্টরে অপূর্ব লাগছে । শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান মাইনা নিল দুইজনরে একসাথেই । শেষ দিকে ঐ চুমুখান দেইখা ব্যাটার বাঙালি নারীর লজ্জা জাইগছিল ক্যামনে বাতাসে মিলায়া গেলো দেইখা অনেকক্ষন হাসছি ।
    আমি আগেই কইছি অ্যাকশন মুভি কেমন ম্যান্দামারা লাগতাছে ভাবতাছি কালকা ‘ট্রি অব লাইফ’ দেখমু । ছবিটা আরাফাত ভাই কিনছে বইলাই জানি । আইছ্ছা ভাই আপনের লেখা যত রিভিউ আছে একসাথে পাওনের কোন ব্যবস্থা আছে ? ভাল থাইকেন ।

    1. ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
      আপনে দেখি এক সাথে সব কথা বলে ফেলছেন। একটু দাড়ি কমাও দিয়েন। একটু এডিট করে দিলাম। 🙂
      ট্রি অব লাইফ দেখবেন? পরে আবার আমারে গাইল দিয়েন না কিন্তু। আর ভাই, আমার সব রিভিউ এইখানে ছাড়া আর কোথাও একসাথে পাওয়া যাবে না।
      ভালো থাকবেন বস। আসবেন মাঝে মধ্যে 🙂

      1. ভাই গাইল দিমুনা হয়ত কিন্তু মনটা একটু বেজার হইতেও পারে | কারন ব্র্যাড পিটরে দেখতেই পারিনা | আবার শন পেনরে ভাল লাগে | ভাই সামুতে ব্লগ লেখার নিয়ম কি ? ডিটেইলস জানাবেন ? ‘অ্যানাদার আর্থ’ দেখছেন ? একটা রিভিউ দিলে ভাল লাগত |

        1. সিনেমায় ব্র্যাড পিট বড় অংশ জুড়ে আছে, সেই তুলনায় শন পেন খুব ছোট অংশ। মজার ব্যাপার হল, সিনেমা নির্মানের পরে শন পেন বেশ বিরক্ত সিেনমার উপর। তার মতে, আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। 🙂

          যে কোন জায়গায়ই ব্লগ লেখার জন্য রেজিস্টার করতে হয়। সামুতে রেজিস্টার করলে নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে সাতদিন তারা আপনাকে পর্যবেক্ষনে রাখবে। তবে এই সাতদিন কখনো কখনো সাত মাসেও শেষ হয় না। বাকী লেখার নিয়ম কানুন তো আপনি জানেনই। নতুন কিছু বলার নেই 🙂

          শুভকামনা রিপন 🙂

  11. এইচবিও তে ম্যাট ড্যামোটের বক্তৃতা পর্যন্ত দেখে খুবই ভাল লেগেছিল । পরে বাসার সমস্যার কারনে দেখতে পারিনি । কয়েকদিন আগে আবার দেখছিলাম , কিন্তু সম্পুর্ন দেখতে পারিনা কারেন্টের জ্বালায় । আপনার রিভিউ পরে আবার দেখতে ইচ্ছে করছে……..

Leave a Reply to দারাশিকো Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *