শরদিন্দুর ‘পথের কাটা’

শরদিন্দুর পথের কাটা পড়ে ফেললাম। ভদ্রলোক যে সময়ে লিখেছেন এবং যে বয়সী পাঠকের জন্য লিখেছেন তাদের কোনটিই না হওয়ায় দু:খই লাগছে। পথের কাটায় অভিনবত্ব আছে, বিশেষ করে খুনীর অস্ত্রে। কিন্তু গল্পে কোন নতুনত্ব পেলাম না। বড় কথা হল, ব্যোমকেশ বক্সীর আগেই আমি নিজেই রহস্যের সমাধান করে ফেললাম।
ব্যোমকেশ বক্সী কতটা বুদ্ধিমান সেটা বোঝা যাবে সহকারী অজিত কতটা বোকা তার উপর। অজিত এখানে লেখকের হাতে বন্দী – ইচ্ছাকৃত বোকা, তাই কোন কিছুই সে বোঝে না। তার এই বোকাত্ব ব্যোমকেশকে অত্যাধিক বুদ্ধিমান করেছে।
আরেকটা ব্যাপার। লেখকের গল্পে একটা ত্রুটি আছে – সেটা খুনীর অস্ত্রে। সব মানুষের উচ্চতা সমান নয়, সেক্ষেত্রে নতুন অস্ত্রটি নড়াচড়া করা সম্ভব নয়। সুতরাঙ জায়গামত আঘাত করতে হলে বেশ অসম্ভব ব্যাপারই বটে। এই সমস্যার সমাধান দুরত্ব হেরফের করে করা যায়, কিন্তু সেক্ষেত্রে গুলির ক্ষমতাও (বিশেষত গতি) হেরফের হবে। তবে এই ধরনের ত্রুটি উপেক্ষা করা যায়।

 

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *