সামু ব্লগে কোন এক ব্লগারের পরামর্শে “দ্যা মেশিনিস্ট” মুভিটি সম্পর্কে জেনেছিলাম।
ক্রিশ্চিয়ান বেইল অভিনীত দারুণ এক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘দ্যা মেশিনিস্ট’, স্প্যানিশে ‘এল ম্যাকুইনিস্টা’ । মেশিন অপারেটর ট্রেভর রেজনিক একাকী মানুষ, দিনকে দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। If you were any thinner, you wouldn’t exist…. এই ডায়লগটা অন্তত: দুবার শুনতে হয়েছে ট্রেভরকে। শুকিয়ে যাবার কারনটাও অদ্ভুত – গত একবছর ধরে ঘুমুতে পারছে না সে, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই কারন ইনসমনিয়ার কারনে কেউ মরে নি এখন পর্যন্ত!
এই ট্রেভর একজন খুনী, ফ্লোর ম্যাট্রেসে করে লাশ গুম করে দিতে চেয়েছিল সমুদ্রে ফেলে, কিন্তু পেছন থেকে কেউ একজন মুখে আলো ফেলে আর তাতেই ফ্ল্যাশব্যাক এবং বাকী কাহিনী। চশমা পড়া মোটাসোটা এক টেকো লোক পেছনে পেছনে তাড়া করে সবসময়। এই টেকোকে পাত্তা দিতে গিয়ে সহকর্মীর হাত খোয়ানোর কারণ হয় ট্রেভর। আবার ঘরের ফ্রিজে প্রতিদিন নতুন একটি করে নোট পায় ট্রেভর, তাতে একেকদিন একেক সংকেত, প্রতিদিন একটু করে পূর্নতা লাভ করে, আর তার জোরে সন্দেহ পাল্টায়, কিন্তু প্রত্যেক জায়গায় ভুল প্রমাণিত হয়। অবশেষে, টেকোকে পাওয়া গেল, তারই ফ্ল্যাটে, ধস্তাধস্তির পর টেকোর ছুড়ি দিয়েই টেকোকে জবাই করে ট্রেভর। তারপর লাশ গুম করার চেষ্টা …. কিন্তু একি, লাশ গেল কই?
অপরাধবোধ সবসময় তাড়া করে ফেরে – এর একটি ভালো উপস্থাপন দ্যা মেশিনিস্ট।
মুভিটি অনেক আগে দেখেছিলাম। তখন কিছুই বুঝিনি। আবার দেখার আশা রাখি। ধন্যবাদ।
ধন্যাবাদ বস 🙂
হ্যাঁ, অপরাধবোধ ট্রেভরকে তাড়া করেই ফেরে, কিন্তু যে ঘটনাগুলো ঘটতে থাকে সেখানে বাস্তবে কোনটা হচ্ছে আর কোনটা তার ভ্রম তা আলাদা করতে পারিনি, আবার দেখবো।
আবার দেখলে সিনেমাটা ক্লিয়ার হবে। দারুন সিনেমা।
ধন্যবাদ তন্ময় 🙂