ইত্তেফাকের শিরোনাম এবং আমার জাদুঘর ভ্রমন ভাবনা

আজকের নিউজপেপার হাতে নিয়েই হতভম্ব হয়ে  গেলাম।
অবিশ্বাস্য! এও কি সম্ভব?
হতেই পারে না, নিশ্চয়ই কোন ভুল হয়ে গেসে। দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক। প্রথম পৃষ্ঠায় এরকম একটি খবর ছাপানোর জন্য তাদের জরিমানা হওয়া উচিত, কিংবা ফাঁসি!
উহু, নিশ্চয়ই এখানে কোন কিন্তু আছে, হয়তো রিপোর্টার মেজর কোন ভুল করেছেন, কিংবা হয়তো এটা কোন পক্ষপাতমূলক খবর!
যাই হোক না কেন, এ ধরনের মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট খবর প্রথম পৃষ্ঠায় দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। তাছাড়া দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাতো অবশ্যই কোন সম্পাদক আছে, তিনি কি রিপোর্টটি পরে দেখেননি! জানি না বাবা, আমার মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে, হতাশ লাগছে,….. তবে কি আমার ভাগ্নিটাকে নিয়ে কোনদিন জাদুঘরে যাওয়া হবে না ?

আমার ছ’ বছরের ভাগ্নিটা গত কয়েকমাস ধরে আমার পেছনে পেছনে ঘুরছে, সে একবার জাদুঘরে যেতে চায়, তার বান্ধবী কিছুদিন আগে গিয়ে ঘুরে এসেছে, গল্প শুনে তারও ইচ্ছে হয়েছে। আমি বারবার কাটিয়ে যাই, বলি, আর কয়েকটা দিন সবুর কর, তোকে ঠিক নিয়ে যাবো ! তবে এখন না, আর ক’টা দিন পরে! কেন? ক’টা দিন পরেই জাদুঘরে নতুন একটা জিনিস আনা হবে, পৃথিবীর কোন জাদুঘরে নেই, বাংলাদেশেরই এক কৃতি সন্তান তা জাদুঘরে পাঠিয়ে দেবেন, তখন গিয়ে দেখা যাবেখন। এখন গেলে তখন আরেকবার যাওয়া লাগবে, দুবার গিয়ে লাভ আচে বল? আমার ভাগ্নি আমার উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্হাপন করে, হু মামা ঠিক বলেছে, ক’দিন পরেই যাওয়া যাক!

কিন্তু এখন কি হবে? ইত্তেফাকের রিপোর্টটা যদি সত্যি হয়, তবে সেই বস্তুটি কখনো জাদুঘরে যাবে না ! তবে কি হবে!! আমি জানিনা, আমার ক্ষুদ্র মাথায় এত বিশাল চিন্তা আসে না। আমার হতাশ লাগে – নচিকেতার একটা গান মনে পড়ে যায়,

বাদরের মত নাচি আমরাও এই কলিকালে
অজানা মাদারীর অদৃশ্য ডুগির তালে…

যে খবরটা বলার জন্য এত আতঁলামি সেটা না বলে লেখাটা শেষ করতে পারছি না, প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম কলামে বড় বড় অক্ষরে ছাপা হয়েছে——–বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে!

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *