ঈদের নামাজে মনির

ঈদের নামাজে মনির দাড়িয়েছে আমার সামনের কাতারে। প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা আর একশো কেজি ওজনের মনিরের জন্য আমি তার সামনের কাতারের লোকজনকে দেখতেই পাচ্ছি না। সাড়ে পাঁচের আমিই কখনো মনিরের পাশে দাড়াই না অথচ পাঁচ ফুট সাইজের সোলাইমান ভাই তার পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে দাড়িয়েছে মনিরের বামপাশে। নামাজ শুরুর আগে যখন মনির আদর করে তার ভাতিজাকে বাবার পাশ থেকে সরিয়ে নিজের ডান পাশে নিয়ে এল, তখন দৃশ্যটা দেখার মতই হল। তবে সেটাই শেষ নয়।

ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর। প্রথম রাকাতে নিয়্যত বাধার পরেই তিন তাকবীর। অনভ্যস্ত মুসল্লীরা ভুলের মধ্যে হাত ছেড়ে দেয়ার বদলে হাত বেঁধে ফেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় রাকাতে অনেকেই রুকূতে চলে যান। নামাজে সেই ভুল করলেন সোলায়মান ভাই – তাকবীরের সাথে সাথে সোজা রুকুতে চলে গেলেন, দেখাদেখি তার ছেলেও। দুই পাশে দুজনই ভুল করছেন – মনিরের বোধহয় সহ্য হল না – শুধরে দেয়ার জন্য দুই হাতে সোলায়মান ভাই আর তার ছেলে পাঞ্জাবীর কলার ধরে টানলেন নামাজের মধ্যেই। ফলাফল?

সোলায়মান ভাইয়ের পাঞ্জাবীর বোতামগুলো ফট ফট করে ছিড়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে লাগল। আর ভাতিজা মনিরের হাতের টানে পা ছটফট করতে করতে শুন্যে উঠে গেল।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *