রমজানের শিক্ষা কী?

রোজা শেষ হলো, ঈদের দিন শুরু হলো।

স্বাভাবিক ভাবেই ইদের দিন খুব বেশী খাওয়া দাওয়া হয়। প্রায় সবল বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়া হয় এবঙ প্রত্যেক বাড়ির সম্মান রাখতে গিয়ে এবং নিজের প্রবৃত্তির চাহিদা মিটাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্বারা পেট পুর্ণ করা হয়।

এই নিয়ে আমরা প্রায়ই আফসোস করি .. সারা মাস রোজা রেখে ঈদের দিনই যে পরিমান খাওয়া দাওয়া করি তাতে কি সারা মাসের সংযমের শিক্ষা প্রথম দিনেই ভুলে বসেছি হয়তো…

এ ধরনের চিন্তা আসাটা পজেটিভ, তাই বলে দু:খিত হবার কিছু আছে কি? যেমন তর্কের খাতিরে বলা যায়, “ঈদের দিন যে পরিমান খাওয়া দাওয়া করা হয়, ঈদের পরের দিনগুলোতে আগামী রোজা আসা পর্যন্ত কি তবে রমজানের শিক্ষা সঠিক ভাবে মেনে চলা হয়? “

রমজানের শিক্ষা কী

ঈদের দিন সবার বাড়িতে যাওয়া একটা ভালো প্র্যাকটিস … সম্পর্কের উন্নতি হয়। এই সম্পর্ক দৃঢ় হয়, সকল বাসায় কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে … সুতরাং এতে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।

তবে আমার মনে হয়, রমজানের শিক্ষাটা আমাদের আরো ভালো ভাবে উপলব্ধি করা দরকার। রমজানের শিক্ষা প্রধানত এই নয় যে, খাওয়া দাওয়া সংযমের মধ্যে রাখতে হবে কিংবা গরীব দু:খীর কষ্ট অনুভব করা। এটি অন্যান্য উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে একটি… মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন।মূল উদ্দেশ্য অর্জন যদি বাদ থেকে যায় তবে বাকী উদ্দেশ্য অর্জনে খুব লাভ হবার কথা নয় … সুতরাং ইসলাম আরো ভালো ভাবে পালন করার নিয়ত রেখে যদি সবার বাসায় গিয়ে পেট পুরে খাওয়া যায় তাতে মন্দ কি?

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *